রেসপনসিবল কোন পলিটিশিয়ান ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন বলে বিশ্বাস করি না-পুলিশ মহাপরিদর্শক

রেসপনসিবল কোন পলিটিশিয়ান ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন বলে বিশ্বাস করি না-পুলিশ মহাপরিদর্শক

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ পিপিএম (বার) বলেছেন, রেসপনসিবল কোন পলিটিশিয়ান কোন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন বলে বিশ্বাস করি না।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ অনেক ভালো কাজ করেছে। সেজন্য আত্মতুষ্টিতে ভোগার কিছু নেই। যে কোন পরিস্থিতিতে পুলিশ সর্বোচ্চ ক্যাপাসিটি দিয়ে জনগণের পাশে থাকবে। পুলিশ হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পুলিশের দায়িত্ব দেশের প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা দেয়া। পুলিশ বিগত সময়ে সর্বোচ্চ সামর্থ এবং শক্তি দিয়ে দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং দেশের সম্পদ রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। 

বুধবার দুপুরে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনে মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ প্রধান। 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে ফের সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি আরও বলেন, দেশের স্বার্থে কেউ কোন বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি করবেন না। রাস্ট্রের সম্পদ নষ্ট করবেন না। 

এর আগে পুলিশ লাইন মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সুশৃঙ্খল সমাজ এবং সুশাসনের জন্য রাষ্ট্র, সমাজ এবং প্রতিটি নাগরিককে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ এবং আত্মমর্যদাশীল জাতি। যেটি আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চাই। দেশের প্রতিটি নাগরিকের, সমাজের এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য আমরা অংশিদারিত্বের সঙ্গে পার্টনারশিপ ইন পুলিশিং করতে চাই।

পুলিশ প্রধান আরও বলেন, তলাবিহীন ঝুড়ি এখন বিশে^র বিস্ময়। ৪ হাজার বছরের ইতিহাসে আমরা আমাদের কখনো শাসন করার সুযোগ পাইনি। বঙ্গবন্ধুর কারণেই আজ আমরা আমাদের শাসন করছি। আমরা আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু একটা দেশ দিয়েছেন, আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অর্থনৈতিক-সামাজিক সমৃদ্ধি দিয়েছেন।

আইজিপি বলেন, রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙ্গার জন্য। গত ১৫ বছরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ অনেক ভালো কাজ করেছে। প্রসংশাও পেয়েছে। এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কিছু নেই। আরও ভালো কাজ, আরও ভালো কাজ, আরও ভালো কাজ করতে হবে। এবং সেটাই হবে পুলিশের লক্ষ্য। 
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রাসেল আহমেদের সঞ্চালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, শেখ হাসিনা সেনা নিবাসের ভারপ্রাপ্ত জিওসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুজ্জামান খান, ডিজিএফআই’র আঞ্চলিক প্রধান কর্নেল জিএস কর্নেল এমএ সাদি, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবির উদ্দিন প্রমাণিক, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা, ব্রজমোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শ.ম. ইমানুল হাকিম। 
সুধী সমাবেশের আগে পুলিশ লাইন মাঠে মেট্রোপলিটন পুলিশের কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার এবং নবনির্মিত বিমানবন্দর থানা ভবনের ফলক উন্মোচন করেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।

সুধী সমাবেশ থেকে জানানো হয়, নগরীর নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন স্থানে ২২৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল সেন্টার থেকে এই সিসি ক্যামেরা নজরদারী করা হবে। ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের যাত্রা শুরু হয়। ওইদিন আইজিপির সময়-সূচি না পাওয়ায় গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এর আগে গতকাল সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বরিশাল মিবান বন্দরে এসে পৌঁছেন আইজিপি। বেলা পৌঁনে ১২টায় পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান তিনি। পুলিশ প্রধানের সফর উপলক্ষ্যে পুলিশ লাইন সাঁজানো হয় নবরূপে।  বিকেলে আকাশ পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল ত্যাগ করেন তিনি। এদিকে আইজিপির সফর ঘিরে বরিশাল নগরীতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।